
প্রকাশিত: Sun, Jan 15, 2023 3:32 PM আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 5:53 PM
মডি কোহেন : বিটিভির প্রথম অনুষ্ঠান ঘোষক
গুলজার হোসেন উজ্জ্বল
বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম অনুষ্ঠান ঘোষকের নাম মডি কোহেন। পুরো নাম মর্ডিসাই কোহেন। ইরানী ইহুদী বংশোদ্ভুত। রাজশাহীর ছেলে?স্কুল, কলেজের পড়ালেখা রাজশাহীতেই। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় চলে আসেন। রাজশাহীতে তাদের পরিবারের ছিলো প্রায় একশ বছরের পুরনো ব্যবসা, জমিদারী। তাদের মনোহারী দোকান, সাইকেলের দোকান ও সাইকেল সারাইয়ের দোকান ছিলো রাজশাহীর মানুষের কাছে খুব পরিচিত। কোহেন সাইকেল হসপিটাল ছিল রাজশাহীবাসীর খুব চেনা দোকান? হ্যাজাক বাতি, পেট্রোম্যাক্স, গ্রামোফোন ইত্যাদির ব্যবসায় তারা ছিল পথিকৃত।
কোহেনরা ইহুদি। ইরানের ইস্পাহান থেকে আঠারো শতকে তাদের পূর্ব পুরুষেরা ব্যবসা করতে এসেছিলেন। এরপর রাজশাহী ও বাংলাদেশের সাথে তাদের ব্যবসা ও আত্মা জড়িয়ে যায়?মডি কোহেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের উদবোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন। ছিলেন সংবাদ পাঠকও। প্রথম গানের অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক তিনি। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিটিভিতে কাজ করেছেন। গ্রুমিং করিয়ে নতুন ছেলেমেয়েদের উপস্থাপনার জন্য তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের উপস্থাপনা ও বাচিক শিল্পের একজন পথিকৃত তিনি।
১৯৬৮ সালে আরব ইজরায়েল সম্পর্কে চরম অবনতি হলে পাকিস্তানে ইহুদি বিদ্বেষ চরমে ওঠে। একরকম বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন মডি ও তাঁর পরিবার। কিন্তু বাংলার প্রতি দুর্নিবার ভালোবাসাটা তাঁর রয়ে যায়। তাই পরিবারের অন্য অনেক সদস্য ইউরোপে থিতু হলেও তিনি রয়ে যান কলকাতায়। সেখানেও তাঁর বাংলা সংস্কৃতির চর্চা বহাল থাকে। আবৃত্তি, চলচ্চিত্রে অভিনয় ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। মডি কোহেন বাংলাদেশের সাদাকালো যুগের খান আতা পরিচালিত নবাব সিরাজ উদ্দৌলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০১৫ সালে অসুস্থ মডি বাংলাদেশে এসেছিলেন আমন্ত্রিত হয়ে, বিটিভির সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে? তাঁকে বিটিভি কর্তৃপক্ষ ভোলেননি এটাই অনেক স্বস্তির। মডিও ভোলেননি বাংলাদেশের কথা, রাজশাহীর কথা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তার বাংলা প্রীতি কেবল আবেগাপ্লুতই করে। ২০১৮ সালের মার্চে মর্ডিসাই কোহেন দেহত্যগ করেন, কলকাতার একটি হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। লেখক: চিকিৎসক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
